কংগ্ৰেস নেতা আব্দুল মান্নানের ভাই সস্ত্রীক যোগ দিলেন তৃণমূলে

23rd February 2020 হুগলী
কংগ্ৰেস নেতা আব্দুল মান্নানের ভাই সস্ত্রীক যোগ দিলেন তৃণমূলে


আব্দুল মান্নানের ভাই মুজিবর রহমান তৃনমূলে যোগ দিলেন।রবিবার  শ্রীরামপুরের তৃনমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তৃনমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করেন মুজিব ও তাঁর স্ত্রী রেজমি খাতুন।কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় তাঁদের তৃনমূলে স্বাগত জানিয়ে বলেন,মমতা বন্দোপাধ্যায় ছাড়া, তৃনমূল ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়ন সম্ভব না এটা বুঝছেন অনেকে।যোগদান তো দলকে সব সমই শক্তিশালী করে।আর রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভাই যখন তখন এটা প্রমান করে কংগ্রেস কিছু করে না।কংগ্রেস সিপিএম এর হাত ধরায় অনেক কংগ্রেস তৃনমূলে যোগ দেবে এই তো শুরু।তৃনমূলে যোগ দিয়ে মুজিব ও রেজমি জানান,তৃনমূলে কাজ করার ইচ্ছা ছিলো অনেকদিন।তাই কল্যাণ দার কাছে জানিয়েছিলাম।দাদা আব্দুল মান্নান কংগ্রেস নেতা এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তাতে কোনো অসুবিধা হবে না,কারন অনেক পরিবার আছে যেখানে সদস্যরা বিভিন্ন দল করেন।রাজনীতিটা ব্যাক্তিগত।চাঁপদানীর বিধায়ক বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা জানান,মুজিব আমার ভাই এটা ঠিকই কিন্তু ও আমার সঙ্গে থাকেও না,শ্রীরামপুরে ফ্ল্যাট নিয়ে থাকে,কোনোদিন কংগ্রেস করেনি।এখন ওরা যদি দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে চায় আমি করব।

ছবি : রাজ‍্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতার ভাই                 সস্ত্রীক যোগ দিলেন তৃণমূলে 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।